মুক্তিযুদ্ধকে না মানলে রাজনীতি ও নির্বাচন করার অধিকার রাখে না : বুলু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, যারা ৩০ লাখ শহীদকে অস্বীকার করে ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে মানে না এবং বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজনীতি করে, তারা আসলে দেশ গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু। তারা ভোট চাওয়া প্রার্থী হওয়া এমনকি দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার রাখে না।

বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে ২৪ এর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ পরিবারের মাঝে জিয়া ফাউন্ডেশন এর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলে।

বুলু বলেন, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার চেহারা এখন চকচক করছে তারা আগে হলে-মেসে থাকলেও এখন চড়েন কোটি টাকার কোটি টাকার গাড়িতে গায়ে দেন ৩০ হাজার টাকার পাঞ্জাবি ৪০ লাখ টাকার ঘড়ি হাতে দেন। নতুন দলের এক নেতা এক শতের অধিক গাড়ি নিয়ে বাড়িতে গেছেন। তারা হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে কোটি কোটি টাকার ইফতার খাওয়ান। ব্যবসায়ী ও প্রশাসন তাদের তদবির ও বদলি বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে দেশে নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প কিছু নেই।

বুলু আরও বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে তার মাতৃভূমি ভারতে পাঠিয়ে না দিলে দেশে আরও একটি অঘটন ঘটতো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আমাদের সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সেনাবাহিনী। এ সেনাবাহিনীর মেজর, জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের পর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ যেমনিভাবে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিয়েছিলাম তেমনিভাবে নোবেল জয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস একটি অবাধ সুষ্ঠু স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাংলাদেশকে উপহার দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যেমনি স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছে। তেমনিভাবে তারেক রহমান ২৪ এর বিপ্লবে বাংলাদেশের ৩২টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে জোট করে বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা থেকে মুক্ত করেছেন।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, মব জাস্টিসের নামে মানুষের ঘরবাড়িতে হামলা ও নৈরাজ্য করা হচ্ছে। এই নৈরাজ্য থেকে রক্ষা পেতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

এতে বক্তব্য রাখেন বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রুস্তম আলী, বিএনপি নেত্রী শামীমা বরকত লাকি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস, চৌমুহনী পৌর বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক আবেদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন আলম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *