হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে ‘মন্ত্রীর প্রটোকল’ নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর অভিযোগ তুলেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। একইসঙ্গে রাতে ভোট হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক পেয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে শঙ্কা প্রকাশ করেন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য আসনে কিন্তু একজন প্রার্থী আরেকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন। আমি এখনও একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে না শুধু, একজন মন্ত্রী, যিনি এখনও প্রটোকল নিয়ে আছেন, তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি। উনি পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করছেন। পুলিশ দেখলেই সাধারণ মানুষ ভয়ে থাকে। এখনও পুলিশ যেহেতু মন্ত্রীর সাথে আছে, কাজ (ভোট) মনে হয় রাতেই হবে। জোরাজুরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে মনে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করে। একজন কর্মকর্তাকে বিষয়টি কনফার্ম করার জন্য জিজ্ঞেস করেছি—আমি একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি, নাকি একজন প্রটোকলওয়ালা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি?। তিনি আমাকে কোনও উত্তর দিতে পারেননি।’
হবিগঞ্জ-৪ গুরুত্বপূর্ণ আসন উল্লেখ করে সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘বর্তমানে এই আসনের এমপি আছেন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সাহেব। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমার এলাকার বিভিন্ন জায়গা চষে বেড়িয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, ব্যাপক সাড়া আমি পেয়েছি। এটা আমার জন্য আশীর্বাদ। আমি বিশ্বাস করি, ওপরে আল্লাহ আর নিচে জনগণ আমার শক্তি। এই দুই শক্তি কাজে লাগিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার যে মিশন, এখানে আমার এমপি হওয়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শেখ হাসিনার যে মিশন একটি উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া। যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন। এটার জন্য আমার যা যা করা লাগবে সব করবো।’
ভোটারদের সাড়া পাওয়ার প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘নির্বাচনি এলাকায় আমি ২০ শতাংশ ভালোবাসার মানুষ পেয়েছি। বাকি ৫০ শতাংশ পেয়েছি প্রতিমন্ত্রী ও তার লোকজন দিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত-নিপীড়িত। এই ৫০ আর আমার ২০ মিলে মোটামুটি ৭০ শতাংশ মানুষের ভালোবাসা (ভোট) পাবো বলে আশা করছি।’
প্রতীক পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঈগল প্রতীক পেয়েছি। পাখির মধ্যে একমাত্র ঈগল ঝড়ের মধ্যে নিচে নামে না। তুফান-ঝড়ে ওপরে উঠে যায়। সে কিন্তু নিচে নেমে আশ্রয় নেয় না।’