সারাদেশের মতো আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে কুষ্টিয়ায় একযোগে শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা। চলতি বছর কুষ্টিয়া জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ২৩২ জন। যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৪০৮ জন কম। ২০২৪ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ২৭ হাজার ৬৪০ জন।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, এবারের পরীক্ষাগুলো জেলার ৪৯টি মূল কেন্দ্র এবং ১৯টি ভেন্যু কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে শুধু এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে ২০ হাজার ৩৫ জন, যেখানে গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৬১৮ জন। দাখিল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৯১২ জন, যা গত বছরের তুলনায় সামান্য কম (১ হাজার ৯৫৪ জন)। অন্যদিকে, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩ হাজার ৬৮ জন।
এসএসসি পরীক্ষা ৪৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে—এর মধ্যে ৩১টি মূল কেন্দ্র এবং ১৮টি ভেন্যু কেন্দ্র। দাখিল পরীক্ষা ৮টি কেন্দ্রে এবং এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা ১১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে একটি ভেন্যু কেন্দ্র রয়েছে। পরীক্ষার সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গত ২০ মার্চ কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে পরীক্ষা সংক্রান্ত এক প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, পরীক্ষার সময় পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। কেউ নকলের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কক্ষ পরিদর্শকদের যৌথভাবে দায়ী করা হবে।
এছাড়াও কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী দায়িত্বপালনকালে নকলের সহায়তা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ৭ এপ্রিল থেকে জেলার সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর দিন রবিবার যশোর বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা প্রশাসন সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে যাতে শান্তিপূর্ণ ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায়।
বার্তাবাজার/এসএইচ