উত্তরায় অবস্থিত একটি গোপন বন্দিশালায় উদ্ধার করা হয়েছিল টাইমার সংযুক্ত বড় পাঁচটি শক্তিশালী বোমা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান আয়নাঘরের ভেতরে পাওয়া এই বিস্ফোরকগুলো একসাথে ফাটলে পুরো ভবন ধ্বংস হয়ে যেত বলে জানিয়েছে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল।
বুধবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দলের সদস্য তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমের সামনে এ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ২৫ জানুয়ারি ওই বন্দিশালার একটি সাউন্ডপ্রুফ কক্ষে তল্লাশি চালানোর সময় বালতির নিচে লুকিয়ে রাখা বোমাগুলো পাওয়া যায়।
তদন্তের স্বার্থে এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে ঘটনাটি তখন গোপন রাখা হয়। ২৭ জানুয়ারি বোম ডিসপোজাল ইউনিট গিয়ে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করে। তিনি বলেন, “বোমাগুলোর শক্তি এতটাই বেশি ছিল যে একসাথে বিস্ফোরিত হলে পুরো ভবন উড়ে যেত।” তিনি আরও জানান, সেই গোপন কারাগারে এখন পর্যন্ত ৯০০-র বেশি গুম ও নির্যাতনের শিকার ভিকটিমের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন রুমে ছদ্ম দেয়াল ভেঙে সেল, বাথরুম, টর্চার রুমের সন্ধান পাওয়া যায়। ঘটনাগুলো ধাপে ধাপে ডকুমেন্টেড করে রাখা হয়েছে।
আইনজীবী তাজুল বলেন, “আমরা ঘটনা হাইলাইট করিনি কারণ এতে তদন্ত বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আমাদের দায়িত্ব ছিল দেশকে স্থিতিশীল রাখা এবং আইনগত পদক্ষেপ নিশ্চিত করা।”
বার্তাবাজার/এসএইচ