বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামীর অবদান ও সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন। তিনি দাবি করেছেন, জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জিত হয়েছে, যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে স্টল স্থাপন করা হয়। এই স্টল থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
বিনিয়োগ সম্মেলনস্থলে গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মোবারক হোসাইন বলেন, “আমরা যেখানে হাত দিয়েছি এটা আপনারা বিশ্বাস করবেন এবং স্বীকার করবেন যে আমরা প্রত্যেকটি সেক্টরে আলহামদুলিল্লাহ আমরা সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশকে আমরা টপ টোয়েন্টিতে পৌঁছাতে পারব এবং বড় বড় ব্যবসা সেক্টর এদেশে খোলা সম্ভব হবে।”
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহের সঙ্গে দুই দিনব্যাপী এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। তারা বিভিন্ন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আশ্বস্ত করেন যে, “যদি উপযুক্ত পরিবেশ পাই তাহলে এখানে আমরা ইনভেস্ট করব।” মোবারক হোসাইন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, “তিনি কান্না কন্ঠে আবেগময় কন্ঠে কনফিডেন্স নিয়ে ইনভেস্টরদেরকে বলেছেন যে, কাম টু আওয়ার কান্ট্রি এবং আপনারা এখানে পরিবেশ পাবেন।” তিনি আরও বলেন, “ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ পাবেন। এবং ব্যবসা যদি আপনার ইনভেস্ট করেন আপনারা লস করবেন না।”
জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতিমুক্ত, শোষণমুক্ত ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।মোবারক হোসাইন দাবি করেন, “আমরা বলতেই পারি যে, বাংলাদেশ জামাত ইসলামী কোন ব্যবসা করছে না।” তবে, “বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর যারা রিনাউনড পারসন আছেন, তারা বড় বড় ব্যবসা পরিচালনা করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যেখানে হাত দিয়েছি এটা আপনারা বিশ্বাস করবেন এবং স্বীকার করবেন যে আমরা প্রত্যেকটি সেক্টরে আলহামদুলিল্লাহ আমরা সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।”
জামায়াতে ইসলামী দৃঢ় বিশ্বাস করে যে, “বাংলাদেশকে আমরা টপ টোয়েন্টিতে পৌঁছাতে পারব।” তারা একটি ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে এবং প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মোবারক হোসাইন আশা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা তাদেরকে দেশে নিয়ে আসতে পারব এবং বড় বড় ব্যবসা সেক্টর এদেশে খোলা সম্ভব।” এভাবে, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা তাদের ব্যবসায়িক নীতির সফলতা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বার্তাবাজার/এসএইচ