ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহের সময় এটিএন বাংলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইসহাক সুমনের উপর হামলার ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এদিকে সাংবাদিক সুমনের উপর হামলার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন ও আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাব তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রশাসনের কাছে দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে আশুগঞ্জ থানায় সাংবাদিক সুমন নিজেই বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামী করে এই মামলা দায়ের করা হয়। আশুগঞ্জ থানায় মামলা নং ০৮।
মামলার আসামীরা হলেন, জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দিলু মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া, আতাবউল্লাহ মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন, হিরু মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া, ও লালু মিয়া, কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও কামাল মিয়া, লীল মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া ও জীবন মিয়া, শফিকুল ইসলামের ছেলে বোরহান উদ্দিন।
মামলা এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দূর্গাপুরে পূর্ববিরোধের জের ধরে ২৭ মার্চ দুই গোষ্টির মারামারি হলে ৬ এপ্রিল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজ্জাদ হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসব ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের জন্য ৭ এপ্রিল বিকালে দূর্গাপুরে গিয়ে বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলার সময় বিনা উস্কানিতে কিছু লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হলে রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় পুরো শরীলে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে জখম করা হয়। এসময় সাথে থাকা ক্যামেরা ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামীরা। পরবর্তিতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামীরা হুমকী দিয়ে চলে যায়।
এই বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, বাদির টাইপ করা এজাহার পেয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অপরাধীদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
বার্তাবাজার/এসএইচ