আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বর্বরতায় নারী-শিশু হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ইসলামী দল ও বিভিন্ন সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “ফ্যাসিস্টরা নানাভাবে আমাদের অভ্যুত্থানকে ধ্বংস করতে চাইছে।”
জোনায়েদ সাকি বলেন, “আজকে বাংলাদেশের মানুষরা যখন একটা বিরাট অভ্যুত্থান করে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা দেখছে, তখনও আমরা দেখছি অনেকেই যেন ওই শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী তৎপরতার মতো তারাও নানাভাবে আবার দখলদারী এবং জনগণের কণ্ঠ স্বাধীনতা রুখে দিতে চায়। ফ্যাসিবাদ হচ্ছে সেটাই, যখন নিজের মত অন্য সবার ওপর আপনি চাপিয়ে দিতে চান। আপনি আপনার মত প্রকাশ করবেন, অন্যকে আহ্বান করবেন আপনার সাথে একমত হওয়ার জন্য, কিন্তু জবরদস্তি করার অধিকার কারো নেই। জবরদস্তি মানেই ফ্যাসিবাদ।”
তিনি আরও বলেন, “আজকে আমরা দেখছি বাংলাদেশের ধর্মীয়, জাতিগত জনগোষ্ঠী কিংবা আমাদের দেশের নারীরা নানাভাবে আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এমনকি ইসলাম ধর্মের অনুসারী, মাজারে যারা ধর্মচর্চা করেন তাদের ওপরেও হামলা করা হচ্ছে। আজকে ফ্যাসিস্টরা নানাভাবে আমাদের অভ্যুত্থানকে ধ্বংস করতে চাইছে।”
জোনায়েদ সাকি বলেন, “সারা দুনিয়ার মানুষের যেমন লড়াই আছে, বাংলাদেশের মানুষেরও লড়াই আছে। এবং প্রত্যেকটি লড়াইকে, একটা আরেকটি লড়াইয়ের সাথে—মজলুমের লড়াইকে—এক সূত্রে গঠিত করতে হবে। বাংলাদেশের মজলুমরা আজ যদি ঐক্যবদ্ধ হই, আমরা যেমন অভ্যুত্থান করে হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছি, বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করে এই দেশে গণতন্ত্র কায়েম করতে পারব এবং সকলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারব। বাংলাদেশের মানুষ চায়, তারা নিজের মর্যাদা নিয়ে বাঁচবেন, তারা নিজের মত এবং চিন্তা প্রকাশ করতে পারবেন। তার জন্য কাউকে ভয় পেতে হবে না। আমাদের ছাত্ররা ওই হলে থেকে নিজের চিন্তা প্রকাশ করতে পারবে, তাদের আবরার ফাহাদের মতো শহীদ হতে হবে না। কিন্তু কেউ যদি এটা বন্ধ করতে চান, তার মানে হচ্ছে তারা হাসিনারই পথ অবলম্বন করছে। কাজেই শেখ হাসিনার নতুন রূপে হাজির হতে বাংলাদেশের মানুষ আর দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ সেটা বরদাস্ত করবে না।”
বার্তাবাজার/এসএইচ