গণঅধিকার পরিষদের পয়দা না হলে হাসিনার পতন হতো না: রাশেদ খান

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সিংগাইর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত জনসভায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্যে বলেন, “গণঅধিকার পরিষদের পয়দা না হলে হাসিনার পতন হতো না।”

রাশেদ খান বলেন, গণঅধিকার পরিষদের ভূমিকা সম্পর্কে আপনারা সকলেই জানেন। ২০১৮ সালের সেই ঐতিহাসিক কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে, কোনোভাবেই এই ২০২৪ সালের গণভোট হতো না। সেই ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা যে সংগ্রাম করেছি, এই সংগ্রাম করতে গিয়ে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী জেল, জুলুম, রিমান্ড ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমাদের সংগ্রামী সভাপতি নুরুল হক নূর গণঅভ্যুত্থান সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন। তার বাসার দরজা ভেঙে কিভাবে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল আপনারা সকলেই তা দেখেছেন।

তারপরেও তিনি থেমে যাননি। যখন তাকে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে কোর্টে তোলা হয়েছিল, সেই সময় আন্দোলন সারাদেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় জননেতা নুরুল হক নূর, তিনি পুলিশের হাতে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় বলেছেন, “এই সরকারের ৯০ শতাংশ পতন হয়ে গেছে, আর বাকি ১০ শতাংশ, একটু ধাক্কা দিতে হবে।” গণঅভ্যুত্থানে গণঅধিকার পরিষদের ভূমিকা এতটুকুই বললাম।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দলের ১১ জন ভাই শহীদ হয়েছেন, অসংখ্য ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সুতরাং যারা এখন গণঅধিকার পরিষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই—এই বাংলার জমিনে যদি গণঅধিকার পরিষদের পয়দা না হতো, তাহলে হাসিনার পতন হতো না।”

রাশেদ খান বলেন, “২০২১ সালে আমরা দল গঠন করেছি, আর এখন ২০২৪ সাল। এই সময়ের মধ্যে আমরা হাঁটি হাঁটি পা করে গণঅধিকার পরিষদকে প্রত্যেক মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। আমরা বলেছি, আগামী নির্বাচনে আমরা তিনটি আসনে নির্বাচন করতে চাই। গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বলব, এখন থেকেই এই প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। যারা স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তারাও এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন। শুধুমাত্র এমপি দিয়ে দেশ চলবে না—আপনাকে মেম্বার হতে হবে, ইউপি চেয়ারম্যান হতে হবে, উপজেলা চেয়ারম্যান হতে হবে। সেটির আলোকে এখন থেকেই গণমানুষের কাছে যান। জনগণের সমর্থন ছাড়া আগামীতে কেউ জনপ্রতিনিধি হতে পারবে না।”

 

বার্তাবাজার/এসএইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *