জুলাই বিপ্লবের পর আবারো ঐতিহাসিক ’মার্চ ফর গাজা’ স্লোগানে গর্জে উঠল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

জুলাই বিপ্লবের পর আবারও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সংহতির বার্তা নিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। শনিবার দুপুরে কর্মসূচির মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার আগেই সকাল থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ উদ্যানমুখী হন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরাসরি উপস্থিত থেকে সাংবাদিক স্বপ্নিল শাহারিয়া শিশির জানান, “গরম আর তীব্র রোদ উপেক্ষা করেই মানুষ দলে দলে সমবেত হচ্ছেন। শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরাইলের বর্বরতার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান তুলেছেন তারা।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আশরাফুল আলম আকাশ জানান, সেখান থেকেও বিশাল জনস্রোত ‘মার্চ ফর গাজা’-তে যোগ দিতে উদ্যানের পথে। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে অংশ নিচ্ছেন এই ঐতিহাসিক সমাবেশে।

শাহবাগ থেকেও বিশাল মিছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে যোগ দিয়েছে বলে জানান সাংবাদিক আশেকিন প্রিন্স। “মানুষ পায়ে হেঁটে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পার হয়ে সমাবেশস্থলে পৌঁছাচ্ছেন। তারা বলছেন, বাংলাদেশের জনগণ ফিলিস্তিনের ন্যায়সঙ্গত স্বাধীনতার সংগ্রামে পাশে থাকবে এবং বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে আছেন। কালো পতাকা বা উস্কানিমূলক কোনো চিহ্ন বহনের ব্যাপারে সতর্ক নজরদারি চলছে। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানানো হয়।

প্রধান সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, আলেম সমাজ, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনেরা। বিকেল ৩টায় মূল আলোচনা শেষে বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি ইসরাইলের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ইসরাইলি পণ্য বর্জনেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “আমরা শুধু মুসলিম নয়, আমরা মানুষ। ফিলিস্তিনের রক্ত আমাদের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিবেক জাগতে হবে।”

 

বার্তাবাজার/এসএইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *