মার্চ ফর গাজায় ‘জঙ্গি সংগঠনের’ কালো পতাকা, জব্দ করল সেনাবাহিনী

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাজধানী ঢাকায় মানুষের ঢল নেমেছিল। নানা রকম পোস্টার, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকাসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি কেন্দ্র করে রাজধানীতে ফিলিস্তিনের পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে। এছাড়াও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানো বাণী সম্বলিত টি-শার্ট, কালেমা খচিত পতাকা, ব্যাজ ও হাত পতাকাও ব্যাপক হারে বিক্রি হয়েছে। তবে কারও হাতে আইএস বা জঙ্গি সংগঠনের সাদৃশ্যযুক্ত কালো পতাকা, টুপি কিংবা ব্যানার দেখা গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তা জব্দ করছেন।আয়োজকদের পক্ষ থেকেও ‘মার্চ ফর গাজা’য় শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়া জনতাকে সেসব জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনও সংগঠনের ব্যানার বা পতাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনও বস্তু যাতে কেউ সমাবেশস্থলে নিয়ে যেতে না পারে সে জন্য এই তল্লাশি। তল্লাশির সময় কালো কাপড়ে কালেমা লেখা কোনও কাপড় বা পতাকা পাওয়া গেলে সেগুলো রেখে দিতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।

সমাবেশে অংশ নেওয়া অনেকের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং ফিলিস্তিনি পতাকা দেখা গেছে। কেউ কেউ কালেমা খচিত ফিতা মাথায় বেঁধেছেন। অংশগ্রহণকারীরা ইসরাইলবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি জাতিসংঘের কাছেও জবাবদিহি দাবি জানান। শনিবার বেলা তিনটার কিছু পরে এই গণজমায়েত শুরু হয়। বিকেল চারটার কিছু পরে ঘোষণাপত্র পাঠ ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।

শনিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক। মোনাজাতে বলা হয়, ইসরাইল ফিলিস্তিনে যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা মানবতার ওপর চরম আঘাত। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, যেন তিনি নির্যাতিত মুসলমানদের রক্ষা করেন এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতার আলো দেখান।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *