প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও কালোটাকা উদ্ধারে শিগগিরই যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এরই মধ্যে অভিযান পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মন্ত্রণালয় ও জেলাভিত্তিক টাস্কফোর্স গঠন করে দুর্নীতিবিরোধী এই অভিযানের ছক করা হচ্ছে।
গত ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সাবেক মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগপন্থি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুবিধাভোগী আমলা ও ব্যবসায়ীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন।
দেশ ছাড়ার সুযোগ নিয়েছেন অনেকেই। অনেকে পারেননি। এছাড়া জীবন রক্ষার্থে আশ্রয় নেওয়া কিছুসংখ্যক আছেন সরকারি হেফাজতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১-১১ এর সেনা সমর্থিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়।
তখন আতঙ্কে দুর্নীতিবাজদের অনেকেই রাস্তায় গাড়ি ও টাকার ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার নজির আছে।
এর আগে ১৯৯৬ সালে বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সারা দেশে অভিযানে নেমেছিল যৌথবাহিনী।তখন ভয়ে অনেক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। আবার অনেকেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু এবার এখনো সে ধরনের কোনো অভিযান দেখা যাচ্ছে না।
খুব দ্রুত সন্ত্রাস দমন ও দুর্নীতিবাজদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালালে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরবে। তবে বিলম্বিত অভিযান, দুর্নীতিবাজ ও অপরাধীদের রক্ষার সুযোগ করে দিতে পারে।তবে পলাতকদের ধরতেই অভিযানের ছক চূড়ান্ত করা হচ্ছে বলে পত্রিকাটি এই খবরে প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি ও বল প্রয়োগ এবং সরকার পতনের পর সহিংসতায় কতজনের প্রাণ গেছে, কতজন আহত হয়েছেন, পঙ্গু বা চোখের আলো হারিয়েছেন এসব নিয়ে এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা।
কারো কাছে নেই নিহত আহতের সঠিক পরিসংখ্যান তবে হতাহত ব্যক্তির পরিচিতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এজন্য ১৩ সদস্য একটি কমিটি করা হয়েছে।
জাতিসংঘ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গত ১৬ই জুলাই থেকে ১১ই অগাস্ট পর্যন্ত অন্তত ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে তবে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন ছাত্র আন্দোলনে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আন্দোলন ঘিরে হতাহতের তথ্য সংগ্রহে ছাত্রদের উদ্যোগে তৈরি করা শহীদ ইনফো নামের ওয়েবসাইট শনিবার পর্যন্ত ৪৯০ জন নিহতের নাম পরিচয় জানা গিয়েছে। আহত অন্তত ৩৩ হাজার। সমকাল অন্তত ৬২২ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হতে পেরেছে।
আন্দোলনে নিহত অনেকের লাশ হাসপাতালে নেয়া হয়নি আবার অনেকে হৃদরোগ বা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে নথিভুক্ত হয়েছে। কারোর লাশ দাফন করা হয় বেওয়ারিশ হিসেবে।
প্রতি মাসে গড়ে ৪৫ টি নাম পরিচয়হীন লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম তবে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ৮৩ টি লাশ দাফন করে এই সংগঠন। যাদের শেষ ঠিকানা হয়েছে রায়েরবাজার ও জুরাইন কবরস্থানে।
এদিকে আন্দোলনে গিয়ে অনেকে এখনো ঘরে ফেরেনি। তাদের খোঁজে হাসপাতালে ঘুরছেন স্বজনরা আবার মেডিকেল কলেজের মর্গের কিছু লাশ পড়ে আছে এসব লাশের কোন দাবিদার পাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘আহতদের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকছেই’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ এবং পরবর্তীকালে সরকার পতনের আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় আহত ব্যক্তিদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এখনো যারা হাসপাতালে আছেন, তাদের জন্য বিশেষ ইউনিট তৈরি করে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি সভায় এই বিশেষ ইউনিট করার সিদ্ধান্ত হয়।
যদিও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই। তাদের পরিবারগুলো বলছে, অনেক ক্ষেত্রে বিনা মূল্যের ওষুধের বন্দোবস্ত হচ্ছে না। বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যও ব্যয় হচ্ছে। একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনেকেই গুরুতর আহত। তাদের দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা দরকার।
সংঘাত-সহিংসতায় কত মানুষ আহত হয়েছেন, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের ধারণা, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তাদের মধ্যে অনেকের পা কাটা গেছে, হাত কাটা গেছে,শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর ক্ষত আছে। অনেকের চোখে আছে ছররা গুলির আঘাত।
চিকিৎসকরা বলছেন, আহত ব্যক্তিদের অনেকের দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা প্রয়োজন হবে। একেক পর্যায়ে একাধিক অস্ত্রোপচার লাগবে। হাসপাতালে থাকা পর্যন্ত রোগীরা সেবা পাবেন।
এরপর কী হবে, সেটা চিকিৎসকেরা জানেন না। যদিও এসব রোগীর জীবনভর কিছু না কিছু জটিলতা থাকবে এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Civil admin still on edge’ অর্থাৎ, ‘জনপ্রশাসন এখনও নড়বড়ে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনার ১৫ বছরের সরকারের পতনের পরে সচিবালয়ের পরিস্থিতি যে শব্দটি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় সেটি হল, ‘বিশৃঙ্খল’।
যারা রাজনৈতিক কারণে বা খারাপ ট্র্যাক রেকর্ডের জন্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, যাদেরকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাদের পছন্দের জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি এবং যারা ভালো অবস্থানে আছেন কিন্তু খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য বড় পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত সপ্তাহ জুড়ে প্রতি ঘণ্টায় মিছিল হয়েছে। কিন্তু সবার দাবি ব্যক্তিগত সুবিধা বাড়ানো। এর বাইরে পাবলিক সার্ভিস উন্নত করার কথা নেই।
তাদের মতে, “এই প্রশাসন পচে গিয়েছে। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবের কারণে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা – সচিবরা – তাদের কাজ এবং নেতৃত্বে সততার উদাহরণ স্থাপন করতে সক্ষম হননি”।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব বলেন, বিগত শাসনামলে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা পদোন্নতি, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শুধু সময় ব্যয় করেছেন।
তিনি বলেন, গত দেড় দশকে কোনো প্রশাসনিক সংস্কার করা হয়নি এবং যারা সংস্কারের জন্য চাপ দিতে চেয়েছিলেন তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি।
পরিস্থিতি এতটাই বিশৃঙ্খল যে সচিবালয়ে স্থাপিত মন্ত্রণালয়গুলো ৫ই অগাস্ট থেকে তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না।
তবে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে নতুন উপদেষ্টা বা সচিব রয়েছে সেগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকারের বড় আকারের বাজেট, যার একটি বড় অংশই চুরি ও দুর্নীতির মাধ্যমে চলে গেছে সমাজের একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর কাছে।
বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১৮৮ শতাংশ। ওয়াসার পানির দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশের কাছাকাছি।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৩ বছরে সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে আনুপাতিক হারে বরাদ্দ কমেছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয়ের বড় অংশই যায় পেনশনে।
আবার সামাজিক নিরাপত্তাভোগীদের বড় অংশই ভুয়া ও অস্তিত্ববিহীন। সড়ক ও রেলসহ বড় বড় অবকাঠামো খাতে যে ব্যয় হয়েছে, তা-ও কিলোমিটারপ্রতি ব্যয়ে বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ।
১৫ বছরের শাসনামলে সরকারের ঋণ বেড়েছে ১৫ লাখ কোটি টাকার বেশি। ফলে বাজেটের বড় অংশই ব্যয় হচ্ছে ঋণের দায় পরিশোধে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছে। দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন।
তবে এখনো ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কর, শুল্ক ও ব্যয় কাঠামো একই আছে। এখনো আছে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ।
নতুন অন্তর্বর্তী সরকার জনবিমুখ এ বাজেটের সংস্কার ও পরিবর্তন করবে বলে অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।
পত্রিকা
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘নতুন বিশ্ব গড়ার কৌশলের কেন্দ্রে রাখুন তরুণদের : ড. ইউনূস’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ ও নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে গ্লোবাল সাউথের কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণ ও ছাত্রদের রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন,তরুণরা নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি গ্লোবাল সাউথ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের কৌশলগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্যই তরুণ এবং ছাত্রদের রাখতে হবে, যারা গ্লোবাল সাউথের জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ। আমাদের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ এবং তারা সমাজের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ।’
শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘থার্ড ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট-২০২৪’ এর ইনঅগারাল লিডার্স অধিবেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন। তিনি ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যুক্ত হন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেয়ার পর এটিই ড. ইউনূসের প্রথম বহুপক্ষীয় কোনো অনুষ্ঠানে যোগদান।
আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ গ্লোবাল সাউথের অন্তর্ভুক্ত। মূলত এসব দেশে মাথাপিছু আয় উন্নত দেশের তুলনায় কম।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের তরুণদের প্রশংসা করে বলেন, ‘বীর ছাত্রদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত ৫ই অগাস্ট দ্বিতীয় বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। আর জনগণের যোগদানের মাধ্যমে এ বিপ্লব গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। যার ফলস্বরূপ গত ৮ই অগাস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করে।’
পত্রিকা
দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘‘অপ্রস্তুত’ বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে আজ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেড় মাসের বেশি সময়ের অচলাবস্থা কাটিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে আজ রবিবার। প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোদমে চালুর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
তবে সরকার পরিবর্তনের পর সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় একধরনের অচলাবস্থা চলছে। উপাচার্যসহ (ভিসি) শীর্ষ পর্যায়ের পদগুলোয় আসীনরা একের পর এক পদত্যাগ করছেন।
বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। পাঠদান শুরু হবে কি না, ছাত্র-শিক্ষক কেউই জানেন না। হল, দপ্তর-দালান আছে, রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীও, কিন্তু নেই অভিভাবক।
হাতে গোনা গুটিকয়েক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাদে প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র একই। এমন অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পদত্যাগের ফলে শূন্য হওয়া প্রশাসনিক শীর্ষ পদগুলোয় নতুন নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘ সেশনজটে পড়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, ‘শেখ পরিবারের কে কোথায়?’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ৫ই আগস্ট দুপুরে তড়িঘড়ি পদত্যাগ করে সামরিক বিমানে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। ওই দিন তারা দু’জনই গণভবনে ছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া পরিবারের আর কোনো সদস্য তখন দেশে ছিলেন না। থাকলে তারা ওই বিমানেই দেশ ছাড়তেন।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের কয়েকজন সদস্যও ৫ই আগস্টের আগেই দেশ ছাড়েন। রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই এখন আর দেশে নেই।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দিল্লিতে কর্মরত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় তিনি দিল্লিতেই ছিলেন।
লন্ডনে বসবাস করা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক বৃটিশ মন্ত্রী। শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান সিদ্দিক সরকার পতনের সময় দেশে ছিলেন না।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক সদস্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস সরকার পতনের দুই দিন আগে সিঙ্গাপুর চলে যান।
শেখ ফজলে নূর তাপসের বড়ভাই যুব লীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম দেশে নাকি বিদেশে এ নিয়ে ধূম্রজাল রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য হিসেবে বরিশালে প্রভাবশালী নেতা ছিলেন আবদুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলন শুরুর সময়েই তিনি ছোট ছেলেকে নিয়ে ভারতে চলে যান।
বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র ছোট ভাই সিটির বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দেশেই আত্মগোপনে আছেন।
বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ হেলাল সরকার পতনের আগেই দেশ ছাড়েন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন। তিনি দেশ ছাড়লেও তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় দেশেই আত্মগোপনে আছেন।
শেখ হেলালের ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দীন জুয়েলকে সরকার পতনের পর টুঙ্গিপাড়ায় দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে। তিনি দেশে নাকি বিদেশে চলে গেছেন তা স্পষ্ট নয়।
পত্রিকা
কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘শিল্প খাতে স্থবিরতায় উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা কাটেনি বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
তারা বলছেন, ছাত্র আন্দোলন ঘিরে কারফিউ জারি ও সহিংস ঘটনার জেরে দেশের অর্থনীতি ‘স্থবির’ হয়ে পড়ে। এ কারণে খাদ্যপণ্য ও কাঁচামালের স্বাভাবিক সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
আন্দোলনের সময় যানবাহন চলাচল দীর্ঘ সময় ব্যাহত হয়। এক পর্যায়ে ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এমন পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসে। এতে বিরূপ প্রভাব পড়ে বাণিজ্যে। অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আবার তারা ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় আছে।
অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফেরানো প্রয়োজন।
একটি টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাম্প্রতিক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকার, বেসরকারি খাত, রাজনৈতিক দলগুলোসহ সব অংশীজনের কাছ থেকে সম্মিলিত প্রয়াসের আহবান জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
উদ্যোক্তারা বলছেন, আমদানি কমিয়ে ডলার-বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অর্থনীতির জন্য হিতে বিপরীত হয়েছে। এতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমছে, সরকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি ব্যাংকের আয়ও কমে যাচ্ছে।