বিচারপতি খায়রুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আইনি নোটিশ

রোববার (১৮ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ও আইনসচিবের কাছে নোটিশটি দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) চেয়ারপারসন ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
নোটিশে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি বিচার বিভাগের সামনে আনা হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান অপ্রাসঙ্গিক ও অসাংবিধানিক কথা বলেন। তার অবসরের ১৬ মাস পর রায় প্রকাশ হয়। এই রায় বাংলাদেশে কুৎসিত সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে।

খায়রুল হক দেশের সব অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার স্থপতি দাবি করে নোটিশে আরও বলা হয়, তিনি শুধু সংবিধানের বিধানই লঙ্ঘন করেননি, বরং সব ঘৃণার বিষবৃক্ষ, দুর্নীতি ও বর্বরতা রোপণ করেন। সব প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের মনোবল হ্রাস, বিচার বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও পক্ষপাতদুষ্টে পরিণত করেন।

এসব অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

এদিকে, একইদিন ঢাকার সিএমএম আদালতে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও জালজালিয়াতির অভিযোগে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন ইমরুল হাসান নামে এক আইনজীবী। তবে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

বিচারপতি খায়রুল হক ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ পান। ২০১১ সালের ১৭ মে তিনি অবসরে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *