হালদার বাঁধ ভেঙ্গে হু হু করে লোকালয়ে পানি ঢুকছে

চট্টগ্রামের মীরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফটিকছড়ির পর হাটহাজারীতেও বন্যা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে নাজিরহাট এলাকায় হালদার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় চট্টগ্রাম নগরীর পাশের এই উপজেলা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীল ওপর দিয়ে যাওয়া নাজিরহাট নতুন ব্রিজের একদিকে পড়েছে হাটহাজারী উপজেলা আর অন্য পাশে ফটিকছড়ি।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে নাজিরহাট পুরনো ব্রিজ এবং নতুন ব্রিজের মাঝামাঝি জায়গায় নদীর পশ্চিম পাশের বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর পানি হু হু করে হাটহাজারীর ফরহাদাবাদের দিকে ঢুকে পড়তে থাকে। সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীসহ স্থানীয়রা জড়ো হয়েছেন।তবে পানি এতটা দ্রুত ঢুকে পড়ছে তাদের দেখে যাওয়া ছাড়া কোনো কিছু করার নেই। স্থানীয় মসজিদ থেকেও মাইকিং করা হচ্ছে সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রায় ১৫ ফুটের মতো বাঁধ ভেঙে পানি দ্রুতগতিতে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এতে অনেক বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ নিরাপদে সরে গেছেন। কিছু কিছু বাড়িঘরের মানুষ আটকে আছেন। তাদের উদ্ধারের জন্য তারা সহায়তা চেয়েছেন।

স্থানীয় এলাকা সম্পর্কে বেশ ধারণা আছে হালদা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়ার। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, হালদার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নাজিরহাট, মন্দাকিনী ফরহাদাবাদ এবং সুয়াবিল এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

তবে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, হালদার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানি হাটহাজারীর ফাহাদবাদের দিকে যাচ্ছে। এদিকের পানি ফটিকছড়িতে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাদের আশঙ্কা রাতের মধ্যে পানিতে তলিয়ে যেতে পারে ফরহাদাবাদের ৪,৫,৬,৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ড। ইতিমধ্যে ফরহাদাবাদ উচ্চবিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

হাটহাজারীর বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়াজ মোরশেদ রিপন বলেছেন, হালদার বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা জরুরি।

স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে যাদের পক্ষে সম্ভব অনতিবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। এ ব্যাপারে অবহেলা না করার পরামর্শ দিয়ে তারা বলছেন, উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় নৌকা বা স্পিড বোট খুবই অপ্রতুল। রাতের বেলায় উদ্ধার কাজ চালানোও অনেকটা অসম্ভব। যারা আশঙ্কায় আছেন, দ্রুত নিরাপদ স্থানে কিংবা নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *