বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নোয়াখালী জেলা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাভার পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. আব্দুর রহিম এখন পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি। তিনি সাভারে জুলাই-আগস্টে দুটি হত্যা মামলার আসামি। এ ছাড়া নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলোর সঙ্গে সাভার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জুলাই হত্যা মামলার আসামি মো. আব্দুর রহিমের তোলা একাধিক ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার পর্যন্ত এমন পাঁচটি ছবি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রহিম নোয়াখালীর সদরের এওজবালিয়া ইউনিয়নের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। বর্তমানে তিনি পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি। গত বছরের ৫ আগস্টের আগে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নোয়াখালী জেলা শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাভার পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক করা হয় জেলা বিএনপির বিদায়ী কমিটির সদস্য মাহবুব আলমগীরকে। সম্প্রতি নিজ জেলার বিএনপি আহ্বায়কের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. আব্দুর রহিমের ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা ঝড় উঠে। মো. আব্দুর রহিম ঢাকার সাভারে থাকেন। তিনি সাভারের জুলাই হত্যা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। সাভার থানায় যাহার মামলা নং-৬ ও ২৯।
ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুর রহিম জেলা বিএনপির আহ্বায়কের বাসায় গিয়ে তার গলায় ও নিজের গলায় ফুল দিয়ে ছবি তুলেছেন। এদিকে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। মাজার এলাকার দুটি ছবিতে দেখা যায়, বিএনপি নেতা আলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রহিমের কাঁধে হাত রেখে হাঁটছেন। আরেকটি ছবিতে কানে কানে কথা বলছেন। এর কিছুটা পাশাপাশি দাঁড়ানো ছিল বিএনপিও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঙ্গে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রহিমের একাধিক ছবি রয়েছে ফেসবুকে। এছাড়া সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলমের রাজীবের সঙ্গেও তার একাধিক ছবি ও আওয়ামী লীগের ব্যানারে ফেস্টুন দেখা যায়।
যোগাযোগ করা হলে সাভার পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি আব্দুর রহীম সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ত আছি বলে তাৎক্ষণিক মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, আব্দুর রহিম আমার আত্মীয় হয়। তিনি আমার চাচাতো ভাইয়ের আপন শ্যালক। আমি জানি তিনি বিএনপি করে। সাভারে কি করে সেটা আমার জানা নেই। আমাদের কাছে কত রকমের লোক আসে। বিষয়টি পারিবারিক। সে জুলাই হত্যা মামলার আসামি এটি ভুয়া। রহিম অন্ধ কল্যাণ সমিতিতে চাকরি করে।