জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘সংস্কারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অর্ধেক বৈধ আর অর্ধেক অবৈধ।’ শনিবার বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত দলের একাংশের বর্ধিত সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বর্ধিত সভায় জি এম কাদের বলেন, ‘আগামীতে আমরা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারব কি না, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে কি না, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। একতরফা নির্বাচন করে দেশ ও জনগণের কোনো লাভ হবে না।’ আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এগুলো দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অনেকে বিচারের নামে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছেন।
সংস্কারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অর্ধেক বৈধ আর অর্ধেক অবৈধ। যেহেতু নির্বাচিত নয়, তাই অবৈধ। আর যেহেতু জাতির ক্রান্তিকালে দায়িত্ব নিয়েছে, তাই বৈধ। তবে আগামী সংসদে এই সরকারকে বৈধতা দিতে বিল পাস করাতে হবে।’ এ সময় এ অংশের কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলটির জেলা-মহানগরের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
এদিকে একই সময়ে রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর সেগুনবাগিচার জেকে টাওয়ারে। সেখানে বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ।
এতে কো-চেয়ারম্যান সুনীল শুভ রায়, সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিক, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন জেলার নেতারা বক্তব্য দেন।
বর্ধিত সভায় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে দলীয় চেয়ারম্যান পদ দখল করেন জি এম কাদের। দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে এই পদে কখনোই দেখতে চাননি। আজ জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তার করা শুধু জনগণ নয়, দলীয় নেতাকর্মীদেরও প্রধান দাবিতে পরিণত হয়েছে।’