আমার স্পষ্ট কথা, ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কোন সংস্কার করা যাবেনা: রাশেদ খান

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, নারীর অধিকার ও সমাজে নারীর অবস্থান নিয়ে কাজ করার কথা বলা হলেও, বর্তমান নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় একধরনের বিভ্রান্তি এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।

তিনি বলেন, “কিয়েক্টা অবস্থা! যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে এই কমিশনের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের কোন ধর্মাবলম্বী মানুষই এমন প্রস্তাবকে মেনে নেবে না। এটা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কৃতির পরিপন্থী।”

রাশেদ খান আরও অভিযোগ করেন, “এই নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনকে সার্বজনীন না করে সেকুলার দৃষ্টিভঙ্গির কিছু নারীদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে, যার ফলে সমাজে অপ্রয়োজনীয় ক্যাচাল তৈরি হচ্ছে। এমনকি তারা বিবাহ বিচ্ছেদ ও ভরণপোষণের ক্ষেত্রেও ধর্মীয় আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে, তারা নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখার পক্ষে থাকলেও, সেটিও আবার এমনভাবে যেখানে নারীর বিপরীতে কেবল নারীই প্রতিযোগিতা করবে — যা এক ধরনের বৈষম্যকেই প্রতিষ্ঠা করে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “এই সরকারের চিন্তাধারা ও মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই কমিশনের প্রস্তাবনার মধ্য দিয়ে। সংস্কারের নামে কিছু মহল বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।”

রাশেদ খান বলেন, “আমার অবস্থান স্পষ্ট — কোনো সংস্কার যেন দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়। এ ধরনের সংস্কার জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *