এই পত্রিকাটির হেডকোয়াটার্স ভারতে: ইলিয়াস হোসেন

এই পত্রিকাটির হেডকোয়ার্টার্স ভারতে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।

আজ রবিবার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেন ইলিয়াস হোসেন।

ইলিয়াস কমেন্ট বক্সে একটি  লিংক শেয়ার করেন। যা জাতীয় নাগরিক পার্টি দক্ষিণাঞ্চল্যের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর দেওয়া একটি পোস্ট।

জনকণ্ঠের পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহ তুলে ধরা হল।

হাসনাত আব্দুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক তীব্র প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোর একটি সংবাদ প্রতিবেদনকে “তথ্যসন্ত্রাস” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। প্রথম আলো তাদের এক প্রতিবেদনে হাসনাতের ‘বিলাসী জীবনযাপন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সেই প্রতিবেদনকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন হাসনাত।

পাঠকদের জন্য হাসনাতের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো।

প্রথম আলো আজ শিরোনাম করেছে “হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন”। আমি প্রথম আলোর সেই সাংবাদিককে অনুরোধ করছি আপনি দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান আমি কত বিলাসি জীবনযাপন করি।

দিল্লী থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন হাসনাত আব্দুল্লাহকে থামাতে পারবেন তাহলে আপনারা এখনও ভুলের জগতে আছেন। থামার হলে তো সেদিনই থেমে যেতাম। ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ ফেরানোর বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাই রুখে দাঁড়াতাম না।

থামার হলে আপনাদের মতোই ভারত বা র এদের তাবেদারি করে মন্ত্রী হওয়ার হিসাব করতাম। বিলাসিতাই যদি করতে চাইতাম তাহলে আমার এতো যুদ্ধ করার দরকার ছিল না আপনাদের সাথে মিলে মিশেই বিলাসি জীবন বেছে নিতে পারতাম।

আমি সেটা করিনি এবং করবও না। যতই তথ্যসন্ত্রাস করেন আমি ভারত আর র এর বিরুদ্ধে কথা বলা থামাবো না, আওয়ামী লীগ ফেরানোর কোন উদ্যোগ জীবন থাকতে সফল হতে দিব না।

আমি কত বিলাসি জীবনযাপন করি সেটা সবাই জানে। আমার ব্যাংক ব্যালেন্স থেকে শুরু করি ট্যাক্স রিটার্ন সবকিছুই একসেস করা যায়। আপনারাও একসেস করতে পারতেন কিন্তু আপনারা করেননি। চ্যালেঞ্জ করে বলছি গতকালের মিটিংএ আমার এসব বিষয়ে কোন কথাই হয়নি, প্রশ্নও হয়নি। অথচ এত বড় মিথ্যা আমার নামে ছাপিয়ে দিলেন।

আমি আবারও চ্যালেঞ্জ করছি আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করুক।যেকোন ভাবে। সরকারি-বেসরকারি যেকোনো গ্রহনযোগ্য প্রক্রিয়ায় তদন্ত হোক। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু এসব মিথ্যা নিউজ করে আমাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা যাবে না। 

প্রথম আলো বারবারই এ দেশের সৎ এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছে।ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদেরকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। আমি সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন। র এর বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ার দুই দিনের মাথায় আমাকে নিয়ে এই তথ্যসন্ত্রাস কাকতালীয় হতে পারে না।

এসব তথ্যসন্ত্রাস দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না।  যতদিন দেহে প্রাণ আছে আমি এই দেশে দিল্লির সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবো। তাতে আমার রাজনীতি যদি না থাকে, আমাকে যদি মাইনাস করা হয়, হোক।

আমাদেরকে মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, র আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *