বাংলাদেশের সর্বপ্রথম জাতীয় এক্সপ্রেসওয়ে (ঢাকা-মাওয়া-ঢাকা) থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামফলক ফেলে দিয়ে ইসলাম ধর্মের নবি হযরত ইবারহিমের নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে একদল মাদ্রাসাছাত্র।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এ দৃশ্য দেখা যায়। সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে “জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম (আঃ) এক্সপ্রেসওয়ে”। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
তবে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে এক্সপ্রেসওয়ে পরিচালনা কর্তৃপক্ষের মন্তব্য জানা যায়নি।
২০২০ সালের ১২ মার্চ সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যান চলাচলের জন্য ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৬ সালে এক্সপ্রেসওয়েটির কাজ শুরু হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন (পশ্চিম) সড়কটি নির্মাণ করে।
ক্ষোভের আগুনে পুড়লো শিশু একাডেমিক্ষোভের আগুনে পুড়লো শিশু একাডেমি
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করার জন্য দুটি সার্ভিস লেন, পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, দুটি ইন্টারচেঞ্জ, চারটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু ও ৫৪টি কালভার্ট থাকা ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে সোমবার দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। টানা চারবার ক্ষমতায় আসার পরও ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হয় তাকে।
ময়মনসিংহে ভাঙা হলো শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ভাস্কর্যের ‘নাক মুখ’ময়মনসিংহে ভাঙা হলো শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ভাস্কর্যের ‘নাক মুখ’
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবরের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় থানা, সরকারি অফিস ভবন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের খবর আসতে থাকে। এসব ঘটনায় পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষও।
ভেঙে ফেলা হলো রাহুল আনন্দ’র সব বাদ্যযন্ত্রভেঙে ফেলা হলো রাহুল আনন্দ’র সব বাদ্যযন্ত্র
ঢাকায় দুবৃর্ত্তরা আগুন দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জনপ্রিয় গায়ক রাহুল আনন্দ’র বাড়ি। ধ্বংস করা হয়েছে তার সব বাদ্যযন্ত্র। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করা হয়েছে বিভিন্ন ভাস্কর্য। রাজশাহীতে ভাঙচুর করা হয়েছে “স্টার সিনেপ্লেক্স”র একটি শাখা। ঢাকায় বিভিন্ন নাট্যদলের স্থাপনায় হামলা হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শশীলজ। ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে।