উচ্চ আদালতের জামিনের পরও কলেজ শিক্ষার্থী আশরাফুল হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান এবং এএসআই মিজানুর রহমানের ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করেননি হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আবারও হাজির হতে হবে।
নির্দেশ অনুযায়ী আজ রোববার ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চে হাজির হন। পরে তাঁদের পক্ষে আইনজীবী লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন।
এ সময় আদালত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘একের পর এক উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করবেন। আবার এসে মাফ চাইবেন। আর আমরা মাফ করে দিব—এটা হতে পারে না। সবাইকে মাফ করা হাইকোর্টের কাজ না। শুধু মাফ করার জন্য হাইকোর্ট বসে নেই। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শুনানিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তার আইনজীবী তাজরুল ইসলাম বলেন, ‘আশরাফুল হাওলাদারের হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার বিষয়টি পুলিশ জানত না। আসামিরা জামিননামা দেখাননি। লইয়ার্স সার্টিফিকেটও দেখানো হয়নি।’
এ সময় বিষয়টি আদালতে নজরে আনা আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা বলেন, ‘জামিনের কথা আসামিরা পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেছেন। জামিন-সংক্রান্ত লইয়ার্স সার্টিফিকেট দেখালে পুলিশ সেটা ছিঁড়ে ফেলেছে।’
তখন আদালত বলেন, ‘আমরা সব বিষয় দেখব।’ এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী উপস্থিত ছিলেন।
‘জামিন নেওয়া শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার’ শিরোনামে গত ২০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন ২১ মে আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা। এরপর গ্রেপ্তারের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান এবং এএসআই মিজানুর রহমানকে তলব করেন হাইকোর্ট।