ছাত্র আন্দোলনে আহত কলেজশিক্ষার্থী আশিকের ২৮ দিন পর শাহাদাত বরণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিক (২৪) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মারা যান। নিহতের ছোট ভাই আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আশিক উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে। উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী সাত মাস আগে বিয়ে করেছিলেন।

ডাক্তারদের দাবি যৌক্তিক, দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে: হাসনাতডাক্তারদের দাবি যৌক্তিক, দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে: হাসনাত
গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বরে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থী-জনতার সংঘর্ষে মাথায় ঢিল লেগে আহত হন আশিক। অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) মারা যান।

আশিকের ছোট ভাই আতিক জানান, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বিবেকের তাগিদে ৪ আগস্ট আমি ও ভাইয়া আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। আওয়ামী লীগের লোকজনের ঢিল ও পিটুনিতে আমিও আহত হয়েছিলাম। ভাইয়া মাথায় আঘাত পেয়ে বাড়িতে ফিরেছিল। কিন্তু আঘাতের কারণে তার বমি শুরু হয়। জ্বর আসে। পরে রংপুর হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেলো না। চিকিৎসকরা বলেছেন, আঘাতের কারণে তার মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছিল।’

সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশসব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ
আতিক আরও জানান, ‘আশিকের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জানাজা শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। সোমবার সেখানেই দাফন সম্পন্ন হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এর আগে কুড়িগ্রামের তিন জন নিহত হন। তারা সবাই ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তাদের লাশ কুড়িগ্রামে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *