এবার এক কাতারে ইরান-বাংলাদেশ-ইয়েমেনের মানুষ

দারিদ্র্য ও নিজ দেশের সংকট সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের জন্য এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে ইয়েমেন। মুসলিম বিশ্বের অনেক সরকার যখন চুপ করে রয়েছে, তখন ইয়েমেনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন গাজাবাসীর পক্ষে রাতদিন এক করে তুলেছে তাদের সংগ্রাম।

ইয়েমেন থেকে একের পর এক মিসাইল ছোড়া হচ্ছে ইসরাইলমুখী। দিনে আবার পথে নামছেন লাখো ইয়েমেনি নাগরিক। ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের এই নিঃস্বার্থ সমর্থন সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। ইরান, ইরাক, ইয়েমেন, লিবিয়া—ইসলামী প্রতিরোধ অক্ষের দেশগুলোতে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির ঢেউ উঠেছে। তাদের কণ্ঠে একই স্লোগান: “গাজা একা নয়।” ইরানে শুক্রবারে রাস্তায় নেমেছেন লাখো মানুষ। লিবিয়াতেও চলছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ। পাকিস্তানে শুক্রবার বিশাল প্রতিবাদে মুখর হয় রাস্তাঘাট।

গাজার জন্য রাস্তায় নেমেছে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ। গ্রাম হোক বা শহর, শিক্ষাঙ্গন হোক কিংবা কর্মক্ষেত্র—সব জায়গায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির জোয়ার। তীব্র গরম উপেক্ষা করে মানুষ একত্র হয়েছে রাস্তায়, হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা, মুখে স্লোগান: “ইসরাইল নিপাত যাক”, “গাজা একা নয়”, “আমরাও ফিলিস্তিনি”। ইসরাইল ও তার সহযোগী সব রাষ্ট্রের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে জনগণ। প্রতিটি বিক্ষোভেই ফুটে উঠেছে ট্রাম্প, নেতানিয়াহু এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার শিশুদের কান্না, খাদ্যের জন্য মানুষের ছুটোছুটি—এসব কেবল ছবি নয়, বাস্তবতা। এ বাস্তবতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ যেমন বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মুসলিমরাও দেখিয়েছে তাদের ঐক্য। ইসরাইলের পৃষ্ঠপোষকদের কাছে পৌঁছে গেছে সেই বার্তা—ফিলিস্তিনের পাশে এখন গোটা মুসলিম উম্মাহ।

যুদ্ধের প্রান্ত থেকে বিক্ষোভের ময়দান—সর্বত্র ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ। তাদের এই প্রতিবাদ হয়তো যুদ্ধ থামাতে পারবে না, কিন্তু এটি বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *