রিকশার ওপর দাঁড়িয়ে পতাকা উড়িয়ে ভালোবাসা প্রকাশ চালকের

বাড্ডা থেকে রিকশা চালিয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে এসেছেন আনোয়ার হোসেন। পেশায় রিকশাচালক হলেও আজ তিনি কোনো যাত্রী বহন করবেন না। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে আজ (শনিবার) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। বিকেল ৩টায় এই গণজমায়েত শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে এরই মধ্যে ছোট বড় মিছিলসহ মানুষের ঢল নেমেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তখন এই রিকশা চালক আনোয়ার হোসেন গেটের ঠিক উল্টো দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে রেখেছেন তার নিজের রিকশা। দাঁড়িয়েছেন রিকশাটির ঠিক ওপরে। ১০০ টাকায় কিনেছেন একটি ফিলিস্তিনের পতাকা। সেই পতাকা ওড়াচ্ছেন আর বলছেন, গাজায় মুসলমান, নারী, শিশু হত্যা বন্ধ করো….
সব কাজ বাদ দিয়ে শুধু ফিলিস্তিনি মুসলমানদের প্রতি ভালোবাসা জানাতেই এখানে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুধু এই রিকশা চালক আনোয়ার হোসেনই নয়, সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসছেন অসংখ্য শ্রেণি-পেশার মানুষ। যাদের প্রায় প্রত্যেকের হাতে রয়েছে দেশের পতাকা ও ফিলিস্তিনের পতাকা। সবার লক্ষ্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, সেখানেই গাজার নিরস্ত্র জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ, বিশ্বজনমত গঠন এবং মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার হওয়াই লক্ষ্য সবার।

মূল অনুষ্ঠান বিকেলে হলেও সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি গেটেই মানুষের ঢল নেমেছে। গাজায় চলমান বর্বরোচিত ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠন এবং মানবিক সহানুভূতি জাগ্রত করতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী এই গণজমায়েত। বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে গোটা বিশ্বেই। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে আয়োজিত হচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’।

এই কর্মসূচির লক্ষ্য গাজার নিরস্ত্র জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ, বিশ্বজনমত গঠন এবং মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার হওয়া।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এতে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারি থেকে শুরু করে খেলোয়াড়, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও এই আয়োজনে সরব সমর্থন জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *