নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৩নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শাহীনকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা সরল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে শাহীনকে নিজের পরিবহন কাউন্টার থেকে প্রাইভেটকারযোগে তুলে নিয়ে যায় যুবলীগ নেতা সরল, তার ভাই নিশাদ এবং ঢাকা মহানগর যুবলীগ নেতা হেলাল ফরাজিসহ তাদের বাহিনী।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে শাহীনের বাবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী শাহীন জানান, সাইনবোর্ড এলাকায় বাসের টিকিট বিক্রির কাজ করেন তিনি। সম্প্রতি সেখানে একটি চায়ের দোকান দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। যুবলীগ নেতা সরল বাহিনী তার কাছে বারবার ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদা না দিলে তাকে সেখানে ব্যবসা করতে দেবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। শাহীন মিয়া চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় সরল এবং তার ভাই নিশাদ ও হেলালসহ ৪/৫ জন সন্ত্রাসী তাকে টিকিট কাউন্টার থেকে টেনেহিঁচড়ে একটি প্রাইভেটকারে তুলে মিতালী মার্কেটের এক নম্বর ভবনে তাদের টর্চার সেলে নিয়ে যায় এবং নির্যাতন চালায়। এসময় সে সরলের পায়ে ধরে জীবন ভিক্ষা চায়। একপর্যায়ে দুই-তিন দিনের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফতুল্লা ছাত্র হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা সরল। হাসিনার আমলে সে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়ার ক্যাডার ছিল।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ সময় অভিযুক্ত কাউকে পাইনি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।