আগামী ০৯ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এমতাবস্থায় দেশটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনের মাস তিনেক আগে সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহীদ যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনে মালদ্বীপের সক্রিয় নেতৃত্বের জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে উল্লেখ করেন, মালদ্বীপ গণতন্ত্রের প্রচার ও শক্তিশালীকরণে এই অঞ্চলে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এছাড়াও, মালদ্বীপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া, প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পাশাপাশি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং অবাধ ও মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য যৌথ প্রতিশ্রুতির কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানানঃ অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন, বিশেষত ওয়াশিংটন ডিসিতে মালদ্বীপের দূতাবাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং মালেতে সম্ভাব্য মার্কিন দূতাবাস প্রতিষ্ঠার বিষয়ে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মালদ্বীপের সাথে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে জনগণের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি’র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে সংস্থাটির প্রশাসক তথা প্রধান সামান্থা পাওয়ারের সাথে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাদের মধ্যে আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং তরুণদের জন্য সুযোগ (সৃষ্টির) বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।