২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর, ইসলামাবাদে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ঢাকায় প্রেরিত একটি বার্তায় ভারতীয় দূতাবাসের গোয়েন্দা কার্যকলাপের গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়।
কাউন্সেলর মোঃ শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই বার্তায় দাবি করা হয়, ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সহায়তায় একটি মোবাইল ট্র্যাকিং ডিভাইস স্থাপন করেছে। এই ডিভাইসের মাধ্যমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ফোন ট্র্যাক করার অভিযোগ আনা হয়।
এই গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিটিআরসির সহযোগিতায় বিষয়টি তদন্তের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এই অভিযোগের ভিত্তিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরে অন্য দেশের কূটনৈতিক মিশন কীভাবে এ ধরনের গোয়েন্দা কার্যকলাপ পরিচালনা করতে পারে, সে প্রশ্নও উঠেছে।
এই ঘটনায় বাংলাদেশের জনমনে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থে @BDMOFA এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবিলম্বে তলব করা উচিত এবং @ihcdhaka এর কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ব্যাখ্যা দাবি করা উচিত বলে দাবি করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।