ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ ইচ্ছাকৃত নয়, স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক এ কথা জানান তিনি।
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। যেসব অঞ্চল এখনও পানির নিচে তলিয়ে যায়নি, সেসব অঞ্চলও ডুবে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে প্রায় ৪ লাখের বেশি পরিবার পানিবন্দি ও ২৯ লাখের বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিং করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘বৈঠকে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার কথা বলেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার। তিনি জানান, ত্রিপুরার বন্যা অনাকাঙ্ক্ষিত, এতে দুদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাঁধ খুলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে পানিবণ্টনে দুদেশের সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। পানি ও নদী বিষয়ে দুদেশের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করার বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে বলেছেন তিনি’, যোগ করেন প্রেস সচিব।
বৈঠকে সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘১০ জেলায় ৩৬ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত। মারা গেছেন দুজন। আর নিখোঁজের খবর নেই।’
নদীগুলো ভরাট হওয়ায় দ্রুত বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম জানান, বন্যাকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করবেন উপদেষ্টারা।