আগামী ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে ‘ওকালতি করার কোনও প্রয়োজন’ দেখছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার (১৯ জুন) নিজ দফতরে বাইডেন ও মোদির মধ্যে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারত একটি অত্যন্ত পরিপক্ব গণতান্ত্রিক দেশ। ভারতের নেতৃত্ব অত্যন্ত পরিপক্ব এবং সমৃদ্ধ। তারা যেটা ভালো মনে করবে, সেটিই তারা আলোচনা করবে। ওখানে আমার ওকালতি করার কোনও প্রয়োজন নেই।’
সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে তিনি জানান।
কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ
সম্প্রতি কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠি প্রকাশের পরে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ওই কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। কংগ্রেসম্যানদের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘তারা লিখেছে তাদের প্রেসিডেন্টের কাছে। তারা সেটি লিখতেই পারে। তবে মিথ্যা তথ্য লিখলে সেটি খারাপ।’
তিনি বলেন, ‘চিঠিতে কিছু তথ্যের গরমিল আছে। ভুল ও মিথ্যা আছে। যেমন একটি মিথ্যা হলো গত কয়েক বছরে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে ৬০ শতাংশ হিন্দু বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে চলে গেছে। এটি সত্যি না। তারা বলছে খ্রিষ্টানদের ওপর অত্যাচার হয়। এটি সত্যি না।’
‘তারা কোথায় চিঠি চালাচালি করছে– এটি তাদের মাথাব্যথা, আমার নয়’ এই মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘সুধী সমাজ ও মিডিয়া– তাদের প্রশ্ন করা উচিত যে এ ধরনের ভুল তথ্য দিয়ে কেমন করে চিঠি লেখে। চিঠিটা পড়ে মনে হয়েছে অপরিপক্ব হাতের লেখা।’
লবিস্ট বাদ দেওয়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের স্বার্থ দেখার জন্য একাধিক লবিস্ট নিয়োগ করেছিল সরকার। কিন্তু তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনও লবিস্ট নাই। তাদের আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি।’
দেশ আপনার, আমার, সবার। যারা বিরোধী দলে রয়েছে তাদেরও দেশ এটি। সুতরাং দেশকে ধ্বংস করে লাভ নাই। কারণ, ধ্বংস হলে সবার ক্ষতি বলে তিনি মন্তব্য করেন।