কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) যে ছয় পার্লামেন্টারিয়ান বিবৃতি দিয়েছে তা ‘বিএনপির ইউরোপিয়ান শাখার বিবৃতি।’
বুধবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ছয় পার্লামেন্টারিয়ান একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিটি পড়ে মনে হয়েছে এটি বিএনপির ইউরোপিয়ান শাখার বিবৃতি। এতে তথ্য ভুল দিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এর ভাষা, বিষয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের কাছে এই ধরনের বিবৃতি আশা করি না।
এসময় বিবৃতিটিকে তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন বলেন, গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আওয়ামী লীগ জন্মের পর থেকে উদ্দেশ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এই আদর্শ থেকে কোনোদিন আওয়ামী লীগ বিচ্যুত হয়নি। পর্দার অন্তরাল দিয়ে লালকুঠি, নীলকুঠিতে ষড়যন্ত্র দিয়ে কোনও বাহিনীর সহায়তা নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ বলে মনে করেন তিনি। আমার নির্বাচনি এলাকা মধুপুর বনাঞ্চলে গারো নৃগোষ্ঠীর অনেক লোক রয়েছে। ৯৯ ভাগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তারা জানে আওয়ামী লীগ তাদের নাগরিক অধিকার পূর্ণভাবে দেয়। কোনও পার্থক্য করে না।
জাতিসংঘ একটি প্রতিনিধি দল পাঠাক। ইইউ’র তথ্য ও বক্তব্য দিয়ে তারা যদি প্রমাণ করতে পারে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করেছি, নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছি, আমরা তার জন্য জবাব দেবো। যেকোনও শাস্তি মাথা পেতে নেবো। কিন্তু এই ধরনের মিথ্যাচারকে কখনও গ্রহণ করবো না। এটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তারা আরও অনেক কথা বলেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন আছে। তার ভিত্তিতে একজনের (খালেদা জিয়া) সাজা হয়েছে। তারা কি মুক্তি দেওয়ার কথা বলতে পারে? তারা রায় রিভিউ করার কথা বলতে পারে কিনা প্রশ্ন করেন মন্ত্রী।
যত রকম আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হোক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা মোকাবিলা করে উন্নয়নের শিখরে যাওয়ার আশা পোষণ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সাময়িক আঘাতে সাময়িক বিপর্যয়। এ সাময়িক যত আঘাত আসুক না কেন, আমি বলতে চাই আমাদের সাময়িক বিপর্যয় হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাক বা না থাক, এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ দল এবং রাজনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাময়িক বিপর্যয় হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি আবারও জ্বালাও-পোড়াও করে তাহলে দেশের অর্থনীতি হুমকির সম্মুখীন হবে বলে সংসদকে জানিয়ে দেন তিনি।