স্বৈরশাসক ‘মাদার অফ মাফিয়া’ শেখ হাসিনা এখন কোথায়? গণঅভ্যূত্থানের মুখে পদত্যাগ করে রাজনৈতিক মুরুব্বি নরেন্দ্র মোদীর ভারতের পালিয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি কি দিল্লিতে রয়েছেন নাকি অন্য কোনো দেশে চলে গেছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি, তবে লণ্ডনে থাকার জন্য যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। যুক্তরাজ্যের সরকার শত শত ছাত্র হত্যাকারী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে রাজী হয়নি। তবে সুত্র জানিয়েছে, মানবাধিকার লংঘন করে শত শত মানুষ গুম এবং গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে না। তিনি আরেক স্বৈরশাসক লুকাশেঙ্কার দেশ বেলারুশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন বলে জানা গেছে।
পদত্যাগের পর গণভবন থেকে পালিয়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। প্রথমে তিনি কোলকাতায় যেতে চাইলে মমতা ব্যানার্জী আগ্রহ না দেখায় তিনি ত্রিপুরার আগরতলা যান। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটে ভারতের রাজধানী দিল্লির উপকণ্ঠে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান। এই এয়ারবেসটি এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম। বিমান বাহিনীর ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ড এয়ারবেসটির দেখভাল করে থাকে। সূত্রের দাবি, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি মালবাহী (কার্গো) বিমানে শেখ হাসিনা গাজিয়াবাদে নামেন।
তার সঙ্গে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানা এবং কয়েক জন অফিসার। জল্পনা ছিল যে, দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করবে শেখ হাসিনার বিমান। কিন্তু পরে জানা যায়, দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ না করে রাজধানী লাগোয়া গাজিয়াবাদের বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেছেন শেখ হাসিনা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, গতকাল সোমবার রাতেই তিনি লন্ডনে যাবেন। জানা যায়, বৃটেন তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। অতপর তিনি বেলারুশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান
শেখ হাসিনার মতোই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো স্বৈরশাসক। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পরে বেলারুশ গণতন্ত্রে নতুন যাত্রা শুরু করে। ১৯৯৫ সালের বিতর্কিত গণভোটের মাধ্যমে লুকাশেঙ্কো ক্ষমতায় আসেন। ১৯৯৬ সালে আরেকটি গণভোট লুকাশেঙ্কোকে ক্ষমতা আরো একীভূত করার অনুমতি দেয়। তখন থেকে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে লুকাশেঙ্কো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে তিনি সে দেশে এক ব্যাক্তির কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছেন। সেখানে থাকার জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন হাসিনা।
এদিকে অপর এক সুত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা আগামী কয়েক দিন দিল্লিতেই ‘সেফ হাউসে’ থাকতে পারেন।