বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
ওই সময় বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জার ঘর থেকে তিন বস্তা আনুমানিক দেড় থেকে দুই কোটি টাকা পেয়ে তা ভাগবাটোয়ারা করে নেন হামলাকারীরা।
সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, মির্জা টাওয়ারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বড়রাজাপুর গ্রামে ওবায়দুল কাদেরের ওই বাড়িতে থাকতেন তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা। কোম্পানীগঞ্জে বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের হয়ে তিনি রাজনৈতিক ও ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত বসুরহাট বাজার নিজের কর্মীদের দিয়ে দখলে রাখলেও দুপুর ১টার পর গা-ঢাকা দেন আবদুল কাদের মির্জা। এরপরই সাধারণ লোকজন তার বাড়িঘর ও স্থাপনায় হামলা চালায়। এ সময় আবদুল কাদের মির্জার শোবার ঘর থেকে তিন বস্তায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা পেয়ে তা হামলাকারীরা ভাগবাটোয়ারা করে নেন এবং বাড়ির সব জিনিস লুট করে আগুন ধরিয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নানা ধরনের লোকজন লাঠি হাতে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে। বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেলও বিস্ফোরিত হয়। এতে ও ইট-পাটকেলের আঘাতে কয়েকজন আহত হন। তাদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার জানান, আমাদের দলের কেউ এসব হামলা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নয়। গত ১৭ বছরের নির্যাতিত জনগণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে এসব ঘটনা ঘটেছে। আমরা সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানান, হামলার খবর পেয়েছি। তবে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।