ক্যারিয়ারের খুব কম সময়ই বিতর্ক আর সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে চলতে পেরেছিলেন সাকিব আল হাসান। এর মধ্য দিয়েই চলেছেন, খেলেছেন।
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আলোচনায় থাকা সাকিব এখন জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে আছেন ভারতে। সেখানে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে নিজের বিদায়ের বার্তা দিয়েছেন।
শুক্রবার কানপুরে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দেশের মাটি থেকেই বিদায় নিতে চান টেস্ট ক্রিকেটের ফরম্যাটে। বলেন, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের জার্সিতে খেলে ফেলেছেন নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি।
দুই ফরম্যাট থেকে সাকিবের অবসর ঘোষণার পরেই ছিল সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর। সেখানেই উঠে আসে শেয়ারবাজার কারসাজি আর হত্যা মামলার কথা।
পুঁজিবাজারে কারসাজিতে জড়িত থাকার দায়ে সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির ৯২৩তম কমিশন সভায় এ জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সাকিব ছিলেন কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। তবে সেসময় আদাবরে গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলার আসামি করা হয় আওয়ামী লীগের এ সাবেক সংসদ সদস্যকে (এমপি)।
শেয়ার কারসাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমার জীবনে আমি আসলে নিজে থেকে কখনো ট্রেড (বাণিজ্য) করিনি। কেউ যদি এটা বলে আমি ট্রেডিং নিয়ে কথা বলেছি, প্রমাণ দিলে খুশি হবো। এসব আসলে এখন যে কেউ যে কারোর মতো করতে পারে। এ জিনিসগুলো যদি সুন্দর করে বলতো, আমার জন্য মানসিকভাবে ভালো হতো। মিথ্যা অভিযোগগুলো আমার মনে হয় না ভালো কিছু করে দেশের জন্য বাইরের মানুষের কাছে। আমি যেহেতু ট্রেডই করিনি নিজ থেকে, স্বাভাবিকভাবে আমার ভুল করার বা ওটার সঙ্গে যে শব্দগুলো যোগ করা হয়েছে, সেটাও আমার জন্য দুঃখজনক। ’
হত্যা মামলা প্রসঙ্গে সাবেক এই এমপি বলেন, ‘একটা মামলা হয়েছে, আসলে সবারই অধিকার আছে। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন, এটা কেমন ধরনের মামলা ছিল কিংবা আমি ওই সময় কোথায় ছিলাম। আমার কাজ কী ছিল কিংবা আমি কী করছিলাম। সুতরাং এ বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি বলতে চাই না। ’
‘পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র। দেশে অনেক কিছু বদলে গেছে, যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে কেমন খেলছি, কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছি, পাকিস্তানে কেমন খেলছি। ভাগ্য ভালো ছিল, ভালো ফল করেছি, যেমন ফলাফল চেয়েছি। ’
বাজে সময়ে নিজের মনযোগ ধরে রাখা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘কঠিন, খুবই কঠিন। আমি কীভাবে (ফোকাস) রাখছি, এটা আল্লাহই জানেন। আমিও জানি না আসলে (হাসি)। ’
সাকিব সংবাদ সম্মেলনে জানান, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়লেও ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তিনি খেলবেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) কিংবা বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতেও দেখা যাবে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকাকে।